নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও অংশগ্রহণহীনতা দূর করতে হলে রাষ্ট্রীয় নীতিতে আনতে হবে রূপান্তর বলছেন বিশ্লেষক ড. আলী রীয়াজ।
প্রকাশিত : ১৪ জুলাই ২০২৫, ৮:৪৪:৪০
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, রাজনীতি, সংসদ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীদের সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। এটি শুধু নৈতিক কর্তব্য নয়, বরং রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়ও।
সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপের ১৩তম দিনের আলোচনার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। আজকের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সংসদে নারী আসনের সংরক্ষণ এবং দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের সম্ভাবনা।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, “গত বছরের ১৪ জুলাই ছিল গণঅভ্যুত্থানের মোড় ঘুরানোর এক স্মরণীয় দিন। ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হওয়া অপমানের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন। তাদের এই সাহসিক প্রতিবাদ ছিল ঐতিহাসিক। তবে দুঃখজনকভাবে সেই প্রতিবাদের জবাবে তাদের ওপর নারকীয় হামলা চালানো হয়।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। নারীকে যথাযথ সম্মান না দিয়ে, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে দমন করার চেষ্টায় রাষ্ট্র কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। নারীকে দমিয়ে রাখলে রাষ্ট্র পিছিয়ে যাবে।”
ড. রীয়াজ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো এই আলোচনায় নারীর মর্যাদা ও প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাবে।
সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।