রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা, দলীয় কার্যক্রম স্থগিতের দাবি
প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ৫:৪৯:৪২
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে আমরা জাতীয় পার্টির অসংগঠিত কার্যক্রম দেখতে পাচ্ছি। অনতিবিলম্বে জাতীয় পার্টির কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।” শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্তমঞ্চে জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ কার্যকর করার যথাযথ পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও সর্বদলীয় রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির কারণে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরে কোনও চাঁদাবাজের বিচার না হওয়ায় চাঁদাবাজি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।” ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন, “নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আগামী ৬ মাস আপনার হাতে আছে। এই সময়ের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করুন এবং প্রশাসনকে ঢেলে সাজান। অন্যথায় নির্বাচনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।”
একই সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের অংশীদাররা ডামি-মামি-স্বতন্ত্র কোনোভাবেই অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ড. ইউনূস আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় দেশ পরিচালনা করছেন, যা আমরা প্রত্যাশা করি নি।” রাশেদ খান আরও বলেন, “২০১৮ সাল থেকে গণঅধিকার পরিষদ জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করে আসছে। শেখ মুজিব ৭১-এর পূর্ব পর্যন্ত নায়ক ছিলেন, কিন্তু ৭১ পরবর্তীতে বাকশাল কায়েম করে গুম-খুনের ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস যথাযথ সংস্কার না করে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। আমরা এমন নির্বাচন চাই যেখানে ভোটে কোনও কারচুপি হবে না।”
সমাবেশে জেলা শাখার সভাপতি আশরাফুল হাসান তপুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, যুবঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি ছানা নুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিনিয়র সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান ওবায়দুল্লাহসহ জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।