আপডেট :
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৬:০৫
গভীর রাতে নিজ বাসা থেকে সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নতুন বাড্ডার বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় তাকে।
মিজানুর রহমান সোহেল দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন হেড এবং অনলাইন এডিটর অ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার সত্যতা জানতে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তাকে এখানেই আনা হয়েছে। কেন রাত ১২টার পর একজন গণমাধ্যমকর্মীকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে সেটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডিবি কার্যালয় আনা হয়েছে।
মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফুল নামের জনৈক পুলিশ সদস্য সাংবাদিক সোহেলের স্ত্রীকে জানান, ‘ডিবিপ্রধান তার সঙ্গে কথা বলতে চান, কথা শেষ হলে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’
এ নিয়ে আল জাজিরার বাংলাদেশী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সাইর রাতে নিজের ফেসবুকে এক পোস্ট দেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১২টার পর, দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে, ডিবি পরিচয়ে তার নতুন বাড্ডার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা জানতে কিছুক্ষণ আগে আমি ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি। তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানালেন তাঁদের এখানেই আনা হয়েছে। কেন রাত ১২টার পর একজন গণমাধ্যম কর্মীকে বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে সেটা জানতে চাইলে তিনি বললেন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডিবি কার্যালয় আনা হয়েছে।
তবে মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফুল নামের জনৈক পুলিশ সদস্য সোহেলের স্ত্রীকে জানান 'ডিবি প্রধান তার সাথে কথা বলতে চান, কথা শেষ হলে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে'। তবে রাত ১২ টার পর কেন ডিবি প্রধান একজন সাংবাদিককে তাঁর বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কথা বলতে আগ্রহী সে বিষয়ে কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে।
বিশেষ একটি সিন্ডিকেটের প্ররোচনায় সাধারণ স্মার্টফোন বিক্রয়কারীদের সাথে কোনরূপ আলোচনা না করে, তাদের ব্যবসা হারানোর আশঙ্কাকে আমলে না নিয়ে এনইআইআর শুরু করতে যাচ্ছিল নেদারল্যান্ডের নাগরিক এবং বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের দাবি দাওয়াতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং জনমত গঠনে আগামীকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজনে একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে পরামর্শ দিচ্ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেল। এই সংবাদ সম্মেলন বানচাল করতে এবং ব্যবসায়ীদের ভয় দেখাতে, ফয়েজ তৈয়ব এর ইশারায় এমনটা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আয়োজকরা।
পুলিশকে ব্যবহার করে এভাবে মধ্যরাতে একজন সাংবাদিককে হেনস্থার নিন্দা জানাই। ফয়েজ যদি আসলেও এই ঘটনার পেছনে কলকাঠি নেড়ে থাকে তাহলে সকল গণমাধ্যম কর্মীর বিবেচনা করা উচিত, তারা এই বিদেশী বিশেষ সহকারীর কার্যক্রম তার বাকী দিনগুলোতে কভার করবে কিনা।’