প্রকাশিত :
২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৫৮:৪৭
ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নয়, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে সরকার। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৪ নভেম্বর) এ রায় প্রকাশ করা হয়।
২০১৮ সালে জীবনরক্ষাকারী ১১৭টি ওষুধ সরকারের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা রেখে বাকি ওষুধের মূল্য নির্ধারণ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়ার সার্কুলারের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে রিট করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। পরে এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রিটকারী আইনজীবীরা বলেন, ওষুধ জীবন ধারণ ও মানুষের রোগ থেকে বেঁচে থাকার অন্যতম মাধ্যম। যা নাগরিকদের বেঁচে থাকার অধিকারও সম্পর্কিত। যে কারণে মূল্য নির্ধারণে সরকারের ক্ষমতা সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত ও জারি করা সার্কুলার নাগরিকদের বেঁচে থাকার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করছে।
পরবর্তীতে, রিটকারী ও বিবাদীপক্ষের শুনানি শেষে, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট বিচারপতি রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অবৈধ ঘোষণা করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত জীবনরক্ষাকারী ওষুধের মূল্য সরকার নির্ধারণ করবে বলে রায় দেন। পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মূল্য নির্ধারণ করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে ৭৩৯টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। পরে সেই ক্ষমতাকে সীমিত করে ১৯৯৪ সালে সরকার ১১৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে অন্যান্য সব ওষুধের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া হয়।