আপডেট :
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৩১:৫৮
সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন মেট্রোরেলের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে এ কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে মেট্রোরেলের সব যাত্রীসেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তবে স্বস্তির বার্তা দিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে নির্ধারিত সময়েই মেট্রোরেল চলবে। যাত্রীসেবাও চলমান থাকবে আগের মতোই।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, মেট্রোরেলের সম্মানিত যাত্রীসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মেট্রোরেল নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী চলাচল করবে।
গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএমটিসিএল-এর নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
স্বতন্ত্র চাকরি-বিধিমালা প্রণয়নে বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদে ওইদিন সকাল ৭টা থেকে এই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে কর্মচারীরা জানান, ২০১৩ সালে ডিএমটিসিএল প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ এক যুগ অতিবাহিত হলেও প্রতিষ্ঠানের ৯০০-র বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি-বিধিমালা এখনো প্রণীত হয়নি। এর ফলে ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট ভাতা বা ওভারটাইম, গ্রুপ ইন্স্যুরেন্সসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা এবং পদোন্নতির সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
এতে আরও জানান, ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে চাকরি-বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্মচারীরা আন্দোলনে নামলে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ ২০ মার্চের মধ্যে সার্ভিস রুল প্রণয়নের আশ্বাস দেয়। কিন্তু ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও আশ্বাস বাস্তবায়িত হয়নি।
কর্মচারীদের দাবি, সার্ভিস রুলের সমস্ত ধারা নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের সম্মতি থাকলেও প্রকল্পের জনবলকে কোম্পানিতে আত্মীকরণের উদ্দেশ্যে সংযোজিত একাদশ অধ্যায়ের “বিশেষ বিধান” সরকারি বিধি-বিধান এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এটি পাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় ১০ ডিসেম্বর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্মচারীদের সঙ্গে সভায় জানান যে, বিশেষ বিধান বাদ না দেয়া পর্যন্ত সার্ভিস রুল অনুমোদন সম্ভব নয়। তিনি সার্ভিস রুল প্রণয়নের কোনো সময়সীমাও দিতে পারেননি।