প্রকাশিত :
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:২২:০৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে আজ (শনিবার) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষ্যে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।
শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল (শনিবার) বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো হয়, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
পরিবারের দাবির ভিত্তিতে জুলাই জজবার প্রাণ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অকুতোভয় বীর শহিদ শরিফ ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
গত স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শরিফ ওসমান হাদি। তার মৃত্যুর সংবাদ ঢাকায় পৌঁছালে কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল।