আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাড়ছে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ
প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২৫, ৪:৫৫:১৭
নিবন্ধনের কারণ ও প্রক্রিয়া
২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অনেক দলই প্রথমবারের মতো নিবন্ধনের চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক পরিচিতি এবং নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ তৈরি করতেই নিবন্ধনের আবেদন করেছে এসব দল। নিবন্ধনের জন্য ইসির নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী, আবেদনকারী দলগুলোকে সাংগঠনিক কাঠামো, নির্দিষ্ট জেলা ও উপজেলার কার্যক্রম, সদস্য সংখ্যা এবং বিগত নির্বাচনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে হয়।
নতুন ও পুরোনো দলের মিশ্রণ
আবেদনকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি দল নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এ ছাড়া পূর্বে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বা বাতিলের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে থাকা কিছু দলও ফের নিবন্ধনের আবেদন করেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান,
“আমরা নিরপেক্ষভাবে সব দলের আবেদন যাচাই করছি। যেসব দল যোগ্যতা পূরণ করবে, শুধু তারাই নিবন্ধনের সুযোগ পাবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দলগুলোর নিবন্ধন আবেদন গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হলেও নিবন্ধনপ্রাপ্ত দলগুলোর বাস্তব কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে আশঙ্কা করছেন, নিবন্ধনের সুযোগ নিয়ে কিছু অপ্রস্তুত বা অকার্যকর দল নির্বাচনী পরিবেশকে জটিল করতে পারে।
ইসির পরবর্তী পদক্ষেপ
নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী দুই মাসের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করে নিবন্ধনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময় ইসি মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান ও প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনাও করছে।
১৪৭টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুমাত্রিক গতিবিধি ও আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। তবে সুষ্ঠু ও কার্যকর রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইসির পক্ষে নিরপেক্ষ ও কঠোর যাচাই-বাছাই চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি।