প্রকাশিত :
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:১০:১৫
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ আজ বৃহস্পতিবার। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর আবির্ভাব ঘটেছিল পৃথিবীতে। তাই দিনটিতে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরাও নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করছে তাদের এই উৎসব।
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন, বেসরকারি টিভি ও রেডিও দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে সংবাদপত্রগুলো। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি ও কল্যাণ কামনায় পৃথক বাণী দিয়েছেন।
নিরাপত্তা জোরদার
এরইমধ্যে বড়দিন উদযাপনকে সামনে রেখে সারাদেশে, বিশেষ করে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সরকার খ্রিষ্টানদের যথাযথ ধর্মীয় উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গির্জায় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুলশান ও বনানীসহ রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোতে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যরা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে নিয়মিত টহল জোরদার করেছে।
আতশবাজি ফোটানো এবং ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ
এদিকে, শান্তিপূর্ণ ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে বড়দিন উদযাপন নিশ্চিত করতে রাজধানীতে আতশবাজি, পটকা, লণ্ঠন ও গ্যাস বেলুন ব্যবহারের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। জন-নিরাপত্তার স্বার্থে এবং এই উৎসব চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পবিত্র বড়দিন উৎসব সুষ্ঠু ও নিরাপদে উদযাপন নিশ্চিত করতে নগরবাসীর পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
পুলিশ বলেছে, এই নির্দেশ মেনে চলার ফলে রাজধানীজুড়ে শান্ত, নিরাপদ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকবে।