প্রকাশিত :
২৪ জুন ২০২৫, ৮:২১:০৯
দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জেলা সদর বা ঢাকায় রেফারও করা হয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০ জনের মতো হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের মতে, প্রকৃত সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,
“প্রতিদিন কারও না কারও বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষ এখনো সঠিক পদক্ষেপ নেয়নি।”
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ:
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ বাড়লেও প্রয়োজনীয় ওষুধ ও শয্যার ঘাটতি রয়েছে। অনেক সময় রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এছাড়া, মশা নিধন কার্যক্রমেও নিয়মিততা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দুর্বল, ডোবা ও জমে থাকা পানিতে মশার বিস্তার অব্যাহত। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন,
“আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কিন্তু রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।”
জনসচেতনতা জরুরি:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে জনসচেতনতাই হতে পারে মূল প্রতিরোধ ব্যবস্থা। জমে থাকা পানি পরিষ্কার, মশারি ব্যবহার, ও ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনই প্রয়োজন বাস্তব তথ্যের ভিত্তিতে জরুরি পদক্ষেপ, স্বাস্থ্যসেবা জোরদার ও সম্মিলিত জনসচেতনতা কার্যক্রম। দাউদকান্দির এই পরিস্থিতি যেন দেশের অন্য অঞ্চলে না ছড়িয়ে পড়ে, সে দিকেও নজর দিতে হবে।