প্রকাশিত :
২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৩৪:২৪
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিপ্লবী শরিফ ওসমান হাদি। দাফন শেষে তার কবরের পাশে অঝোর কান্নায় ভেড়ে পড়েন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় তাকে ওসমান হাদির কবরের ছুঁড়ে কান্না করতে দেখা গেছে। এছাড়া কবরের অদূরে বসেও কাঁদতে দেখা গেছে সহযোদ্ধার শেষ বিদায়ে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
ওসমান হাদির জানাজা নামাজ পড়ান তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
জানাজার আগে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শরিফ ওসমান হাদির মন্ত্র ছিল বল বীর চির উন্নত মম শির। তিনি আমাদের মাথা নত না করার মন্ত্র দিয়ে গেছেন। এই মন্ত্র আমাদের অন্তরের মধ্যে থাকবে।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হাদির ওপর হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীকে সপ্তাহব্যাপী তাদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণকে জানানোর দাবি করেন তিনি।
এর আগে, শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। এরপর গোসলের জন্য সেখান থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পৌঁছায় তার মরদেহ। এদিন ভোর থেকেই হাদিকে শেষবারের মতো দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই হাসপাতাল এবং জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জড়ো হন।