প্রকাশিত :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:৪৪:৩২
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে (এসজিএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি শোক প্রকাশ করেন।
পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘বিপ্লবী ওসমান হাদিকে মহান আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করুন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার সাহসিকতা থেকে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়ার তাওফিক দান করুন।’
এর আগে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমান হাদি মৃত্যুবরণ করেন।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি।
ওইদিন মোটরসাইকেলে করে এসে দুইজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলি হাদির মাথায় লাগে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, গুলি ওসমান হাদির মাথার ডান দিক থেকে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে, তবে অংশবিশেষ এখনও তার ব্রেনে রয়েছে।
পরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সবশেষ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল ওসমান হাদিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক এবং ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ জানান, শহিদ হাদির মরদেহ শুক্রবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইটটি সিঙ্গাপুর ছাড়বে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটির সম্ভাব্য অবতরণের সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিট।
ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন ছাত্র-জনতা।
এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা,’ ‘ভারতের আগ্রাসন, ভেঙে দাও-গুড়িয়ে দাও,’ ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ-জিন্দাবাদ’, ‘শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা বলব’- বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।