প্রকাশিত : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ৫:২১:৫৫
শেফালির বয়স মাত্র ২১ বছর ২৭৯ দিন, এই বয়সেই গড়েছেন ইতিহাস। তিনিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার (পুরুষ বা নারী), যিনি কোনো ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হয়েছেন।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মাঠে উপস্থিত শচীন টেন্ডুলকারকে দেখেই নিজের ভেতর নতুন উদ্দীপনা পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটার। গতকাল রোববার ভারত নারী দল প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস রচনা করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে এই শিরোপা ঘরে তোলে তারা।
ফাইনাল ম্যাচে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতেও দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ভারতের হয়ে নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ রান করেছেন শেফালি ভার্মা, আগের রেকর্ডটি ছিল পুনম রাউতের (৮৬)।
শেফালি ম্যাচ শেষে আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছিলাম, ঈশ্বর আমাকে কিছু ভালো করার জন্যই পাঠিয়েছেন, আর আজ সেটাই হয়েছে। আমরা জিতেছি, শব্দে বোঝানো যাবে না কতটা আনন্দ হচ্ছে। কঠিন ছিল, কিন্তু নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল। মন শান্ত রাখতে পারলে সবকিছুই সম্ভব। বাবা-মা, বন্ধুরা, ভাই-সবাই আমাকে সমর্থন করেছে। শুধু চেয়েছিলাম দলকে জেতাতে। পরিকল্পনা ঠিক রেখেছিলাম এবং তা মাঠে কাজে লাগাতে পেরেছি।’
এরপর শচীনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠে শচীন স্যারকে দেখে যেন ভেতরে নতুন শক্তি পেলাম। আমি ওনার সঙ্গে কথা বলি, উনি আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা দেন। তিনি ক্রিকেটের মাস্টার, তাকে দেখলেই আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’
ভারতের ইনিংস শুরু হয়েছিল দুর্দান্তভাবে। স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি ভার্মা জুটি ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ও সতর্কতার সঙ্গে ব্যাটিং চালিয়ে যান। মাত্র ৬.৩ ওভারে আসে পঞ্চাশ রানের জুটি, আর প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ওঠে শূন্য উইকেটে ৬৪ রান। এই ওপেনিং জুটি অবশেষে ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলে, এরপর মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন ক্লোই ট্রায়নের বলে।
এই ইনিংস এবং পারফরম্যান্সে শেফালি শুধু ভারতের প্রথম নারী বিশ্বকাপ জয়ের নায়িকাই নন; বরং তিনি প্রমাণ করেছেন, ভারত নারী ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এখন তার মতো তরুণদের হাতেই সবচেয়ে নিরাপদ।