ইরান-ইসরায়েল সংকটে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি আলোচনা
মহাসচিব গুতেরেসের তীব্র হুঁশিয়ারি, দ্বিপক্ষই নীরব প্রতিরোধে তৎপর
আপডেট :
২১ জুন ২০২৫, ৭:৪৮:১৬
ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি বলেন, ইসরায়েলের আক্রমণ “যুদ্ধ ঘোষণা” এবং “অন্তত্যন্ত দুঃখজনক” । এ সময় তিনি বলেন,
“স্থানীয় জনগণ বড় ধরনের প্রাণহানি ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।”
পরবর্তীতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন তাঁকে সরাসরি ‘ভিকটিম হিসেবের নাটক’ বলেও সমালোচনা করেন ।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও পদক্ষেপ:
- বৈঠকে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে।
- ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা ইশারায় বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি “মানবতা ও পারমাণবিক নিরাপত্তাকে হুমকি দিচ্ছে”।
- নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনায় সামরিক অভিযান বন্ধে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলেও তা এখনও অনুমোদিত হয়নি ।
মহাসচিব গুতেরেস উল্লেখ করেন,
“এই সংঘাত থেকে এমন আগুন ছড়াতে পারে যা আর কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে না”
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের তীব্র হুঁশিয়ারি ও জরুরি বৈঠক আরও একবার প্রমাণ করে, ইরান ও ইসরায়েল সংঘাত এখন শুধুমাত্র আঞ্চলিক ইস্যু নয়, বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও মানবিক সংকটের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ থেকে উত্তরণের জন্য শান্তিপূর্ণ কূটনীতিক উদ্যোগ দ্রুত প্রয়োজন।