প্রকাশিত :
২২ জুন ২০২৫, ৫:২০:৫৩
ইরানের হুঁশিয়ারি:
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন,
“মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, কূটনৈতিক মিশন এবং নাগরিকরা এখন ঝুঁকিতে রয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বা ইসরায়েলের পক্ষে আর কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে প্রতিক্রিয়া হবে সর্বব্যাপী।”
এই বিবৃতির মাধ্যমে ইরান সরাসরি প্রথমবারের মতো মার্কিন বেসামরিক নাগরিকদের সম্ভাব্য লক্ষ্যের তালিকায় রাখার ইঙ্গিত দিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া:
হোয়াইট হাউস থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটি ও কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য নতুন করে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে।
পরিস্থিতির পটভূমি:
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বেড়ে চলা সামরিক উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে ইরান বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। ইরান অভিযোগ করছে, ইসরায়েলের একাধিক হামলায় যুক্তরাষ্ট্র নীরব সমর্থন দিচ্ছে। বিশেষ করে সিরিয়া ও ইরাকে ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলার পরই এই হুঁশিয়ারি জারি করে তেহরান।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই হুঁশিয়ারিকে গভীর উদ্বেগজনক বলেছে এবং দুই পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ভাষ্য কূটনৈতিক সমাধানের পথ রুদ্ধ করতে পারে এবং সরাসরি সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়ায়।
ইরানের এ ধরনের হুঁশিয়ারি শুধু ভূরাজনৈতিক অস্থিরতাই নয়, বরং হাজার হাজার নিরীহ বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তোলে। মধ্যপ্রাচ্যে এখন যে কোনো সময় নতুন সংঘর্ষের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।