প্রকাশিত :
২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭:৫০:০৮
প্রায় ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তনকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমগুলো।
ভারতের গণমাধ্যমগুলোতেও গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে যান তাকে স্বাগত জানাতে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৬০ বছর বয়সী তারেক রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র। আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।
তারেক রহমান স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন। বিমানবন্দর এলাকায় তাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায় বলে জানান তারা।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি নির্বাসনে ছিলেন।
২০১৮ সালে তারেক রহমানকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমন এক সময়ে তিনি দেশে ফিরলেন, যখন ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বিএনপি আবার রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠছে ও দলটির অবস্থান শক্ত হচ্ছে।
দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৫) ঢাকায় পৌঁছান। তার দেশে ফেরাকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন এমন এক সময়ে হলো, যখন দেশটি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের দেশে ফেরা রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে জানান তারা।
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী মনোভাব এবং 'উগ্রপন্থী' শক্তির আস্ফালন দিল্লির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এই প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের ফেরা বিএনপির তৃণমূল কর্মীদের উজ্জীবিত করবে, যা একটি গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছে দিল্লি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপ বলছে, আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের দল (বিএনপি) সর্বাধিক আসন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, একসময়ের মিত্র জামায়াতও খুব একটা পিছিয়ে নেই। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে জামায়াতের ছাত্র সংগঠনের অভাবনীয় বিজয় ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।