প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৭:০৪:১৭
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে শাখা ছাত্রদল। প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া খাদিজাতুল কুবরা। এই মামলায় তিনি প্রায় ১৫ মাস কারাবন্দি ছিলেন। প্যানেলে তার নাম ঘোষণার মাত্র ১৮ ঘণ্টা আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়। এছাড়াও সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিবের।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রফিক ভবনের নিচতলায় প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। অবশ্য অনেকেই ছাত্রদলের এই প্যানেলকে ‘মান বাঁচানো’র প্যানেল বলে মনে করছেন।
ভিপি পদপ্রার্থী রাকিব উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়া সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তানজিল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের নেতৃত্বেই ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলে লড়বে ছাত্রদল।
এই প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন—মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক পদে অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো: মাসফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে অপু মুন্সী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে তাকরিম আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. কামরুল হাসান নাফিস, পরিবহন সম্পাদক পদে মাহিদ হাসান, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক পদে মো. আনন বিন রহমান, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে রিয়াসাল রাকিব।
এছাড়াও সাতটি নির্বাহী সদস্য পদের মধ্যে ছয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একটি নির্বাহী সদস্য পদের নাম পরে ঘোষণা করার কথা বলেছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিব।
নির্বাহী পদের ছয় প্রার্থী হলেন—ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, তৌহিদুল ইসলাম তামিম ও আরিফুল ইসলাম আরিফ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে প্রার্থীরা ২৩টি পদের মধ্যে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম ও ট্রেজারার অধ্যাপক সাবিনা শরমীন।
ওই দুটি পদ ছাড়া প্রার্থীরা বাকি ২১ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
এর আগে ৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, ১৭ ও ১৮ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিল এবং ১৯ ও ২০ নভেম্বর বাছাই হবে। ২৩ নভেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর প্রর্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি। প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হবে ২৭ ও ৩০ নভেম্বর। এরপর প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩ ডিসেম্বর।
তারপর প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ পাবেন ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করবেন, তাদের তালিকা ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে। আর সেদিন থেকেই যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারবেন। ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণা শেষে ভোটগ্রহণ হবে ২২ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।