প্রকাশিত :
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:২১:৫৪
এক লাফে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। তবে উল্টো চিত্র মাছের বাজারে। রুই, কাতলা থেকে শুরু করে চাষের বেশির ভাগ মাছই বিক্রি হচ্ছে চড়া দরে। অন্যদিকে এবার শীতেও এলেও সবজির বাজার এখনো ঠাণ্ডা হয়নি। বেশির ভাগ সবজির দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ দোকানেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৪০-১৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৮০–১৯০ টাকা। অন্যান্য জাতের মুরগির দামও স্থিতিশীল রয়েছে। কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০ টাকা, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ টাকা দরে। ডিমের বাজারেও তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। ফার্মের ডিম ডজনপ্রতি ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতাদের মতে, আগের তুলনায় সরবরাহ অনেক বেশি বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই দাম কিছুটা কমেছে। শীত আসার আগেই খামারিরা প্রচুর মুরগি বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। সরবরাহ আগের তুলনায় দ্বিগুণ। তাই দাম কমেছে, আর ক্রেতারাও স্বস্তি পাচ্ছেন।
এ ছাড়া ছোট–বড় সব ধরনের মাছের দাম চড়া। আকৃতিভেদে রুই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকায়, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০–২২৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০–২৫০ টাকা এবং শিং–মাগুর ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। চাষের ও দেশি কই ৩০০-৬০০ টাকা আর বোয়াল ও চিতলসহ বড় মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়।
অন্যান্য মাছের মধ্যে ছোট চিংড়ি ৩০০-৩৫০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪৫০-৫০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে শীতকালীন সবজির বাজারে প্রতিপিস ফুলকপি ও বাঁধা কপি (মাঝারি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা কেজি, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, শালগম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।