প্রকাশিত :
২৯ জুলাই ২০২৫, ৮:০৪:৫৪
টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় খোলা ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হওয়া ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ফারিয়া তাসনিম ওরফে জ্যোতি (৩২)-এর মরদেহ আজ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের কর্মীরা আজ সকাল ৯টার দিকে শালিকচূড়া বিল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শাহিন আলম বলেন, “ফারিয়া যে ড্রেনে পড়েছিলেন, সেই ড্রেনের পানি শালিকচূড়া বিলে গিয়ে পড়ে। সেখানেই মরদেহ পাওয়া যায়।”
কী ঘটেছিল?
গত রোববার রাতে, টঙ্গীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে দিয়ে হাঁটার সময় ফারিয়া খোলা ড্রেনে পড়ে যান। সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড বা ঢাকনা না থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পানির প্রবল স্রোতে তিনি মুহূর্তেই নিখোঁজ হন। এরপর টানা দুই দিন ধরে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
হতভাগ্য ফারিয়া
ফারিয়া চুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা ওয়াসিম উল্লাহ আহমেদের মেয়ে। তিনি পেশাগত কারণে টঙ্গীতে এসেছিলেন। একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে তিনি কাজ করতেন। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। বড় ভাই মো. শোভন বলেন, “সোমবার সকালে বোনের জুতা খুঁজে পেয়ে নিশ্চিত হই তিনি ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন।”
কার দায়?
স্থানীয় বাসিন্দারা সিটি করপোরেশন ও বিআরটি প্রকল্পের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, “এ রকম জনবহুল এলাকায় খোলা ড্রেন রেখে মানুষকে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলা হয়েছে।”
প্রশাসনের বক্তব্য
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, “লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া চলমান।”
প্রাসঙ্গিক পটভূমি
টঙ্গীসহ দেশের বহু শহরে খোলা ড্রেন ও ম্যানহোল দীর্ঘদিন ধরে জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। সড়কপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের গাফিলতি ও প্রকল্প বাস্তবায়নের অবহেলা বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে।