অভ্যুত্থান-পরবর্তী নিরাপত্তাহীনতায় মব সহিংসতা বেড়েছে, বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
প্রকাশিত : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪০:০৩
দেশে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। শুধু চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১০ দিনেই অন্তত ১৩টি ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএফএস) তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭৮ জন নিহত হয়েছিলেন। আগস্টের প্রথম ১০ দিনের ঘটনাসহ এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭-এ। আহত হয়েছেন ২৬৬ জন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ১১১ জন মব সহিংসতার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বেশিরভাগ ঘটনায় চুরির অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সর্বশেষ ৯ আগস্ট রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে জামাই-শ্বশুর রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিনে মাদারীপুরে তিনজনকে গণপিটুনির পর একজনের চোখ তুলে ফেলার চেষ্টা হয়। নিহতদের স্বজনেরা দাবি করেছেন, তাঁরা নিরপরাধ ছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি শক্তিশালী হওয়ায় সাধারণ মানুষ নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেন, তাৎক্ষণিক মব ও সংঘবদ্ধ মব উভয়ের ঘটনা বাড়ছে, যেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও কাজ করছে।
মানবাধিকারকর্মীরা মনে করেন, সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ না থাকায় মব সহিংসতা দমন সম্ভব হচ্ছে না। গুম তদন্ত কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতের ভীতি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন এবং আস্থাহীনতার কারণে পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে।