প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১:০৮:৫৯
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামির সঙ্গে নামের মিল থাকায় আলমাছ নামে এক যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে দোহার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০০২ সালে মিরপুর থানায় দোহার উপজেলার দক্ষিণ বাহ্রার খলিল আহম্মেদের ছেলে আলমাছের নামে একটি মামলা হয়। মামলায় ২০০৪ সালে ১০ বছরের সাজা হয় আলমাছের। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
সেই মামলায় গত ৪ নভেম্বর দোহারের সুন্দরীপাড়া থেকে আলমাছ নামে এক নিরপরাধ যুবককে গ্রেপ্তার করেন দোহার থানার মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরির্দশক (এসআই) জুবাইদুল হক।
ওই যুবকের পরিবারের দাবি, আলমাছ কৃষিকাজ ও ইলেকট্রিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি জীবনে কখনোই ঢাকা শহরে থাকেননি বা যাননি। অথচ তার ও বাবার নাম মিল থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আলমাছের বোন নাজমা আক্তার বলেন, ২০১৮ সালেও আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এবারও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার পর আমরা বলেছিলাম, সাজা পাওয়া আসামি আর আমার ভাই একই ব্যক্তি নয়। আগের কাগজপত্রও তাদের দেখিয়েছিলাম, কিন্তু পুলিশ কোনো কথাই শুনেনি।
নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফেরদৌসি বেগম বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরু ভূইয়া ও গ্রাম পুলিশ ঝন্টু সরকারের তথ্য মতে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমাছের বসত-বাড়ি নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। তারা এখন কোথায় বসবাস করে কেউ জানে না।
এসআই জুবাইদুল হক বলেন, আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে নিরপরাধ দাবি করা হলে আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাই। তখন তাদের আদেশে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী বলেন, সব প্রমাণ পেয়ে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়। তারপরও যদি আসামিপক্ষের কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে তারা আদালতে প্রমাণ দিয়ে তাকে মুক্ত করুক।