প্রকাশিত :
২০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩২:২৫
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই দোহার উপজেলার মৈনটঘাটে ও মেঘুলা ঘাটের আরতে বিক্রি হচ্ছে জাটকা।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে নদীতে শুরু হয়েছে জাটকা ইলিশ শিকারের ওপর ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এ সময়ে ১০ ইঞ্চির ছোট সব জাটকা ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ, বিনিময় ও মজুত করাকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করেছে মৎস্য বিভাগ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অবাধে চলছে জাটকা ইলিশ বিক্রি। এতে ইলিশের মৌসুমে ইলিশ সংকটের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান ক্রেতারা। তারা আরও বলছেন নাম মাত্র অভিযান আর ফটোসেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন মৎস কর্মকর্তারা।
১ নভেম্বর (শনিবার) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এ আইন অমান্য করলে ১ থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবার বিধান থাকলেও এর খুব বেশি প্রতিফলন দেখেননি সাধারণ মানুষ।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, আইন অমান্যকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জাটকা ধরা, বিক্রি বা পরিবহনে জড়িত যে-ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অথচ নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেউ কেউ বলছেন নৌ পুলিশ ও মৎস অফিসের কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই এসব কর্মকাণ্ড চলছে।
এ বিষয়ে মৈনটঘাটের মৎস আরৎ সমিতির সভাপতি মুরাদ মৃধা প্রথমে জাটকা বিক্রির কথা অস্বীকার করলেও পরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব বাজারেই জাটকা বিক্রি করে জেলেরা। দোহারেরও সব বাজারে বিক্রি হয় জাটকা।’
মৈনটঘাটের মৎস আরৎ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাশেম মেম্বার বলেন, ‘এখন আর আগের মতো জাটকা বিক্রি হয় না।’ এ সময় তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করতে চান।
এ বিষয়ে দোহার উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা মুন্নী বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান করা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকায় অনেক সময় মিটিং থাকার কারণে সম্ভব হয় না। প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে অভিযানে যাওয়ার কথা জানান।