প্রকাশিত :
২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১২:২২
বরগুনায় অতিরিক্ত ডিগ্রী ও ভুয়া পদবি দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগে ৪ চিকিৎসককে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আটক চিকিৎসকদের মধ্যে ২ জনকে অর্থদণ্ড ও ২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাত পৌনে নয়টায় বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ’র নেতৃত্বে শের-ই-বাংলা ফার্মেসী সড়কে এ অভিযান পরিচালিত হয়। তিনি সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে ওই চারজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই রায় প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জহিরুল ইসলাম সৌরভ, সুজন চন্দ্র লস্কর, বিধান রঞ্জন সরকার ও দিলীপ কুমার দাস। ভুল স্বীকার করায় বিধান ও দিলীপকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২২ ধারায় ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অন্য দুইজন জহিরুল ইসলাম সৌরভকে ১৮ মাস এবং সুজন চন্দ্র লস্করকে ৬ মাসের সাজা প্রদান করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনা পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ। এসময় শহরের ফার্মেসি পট্টি এলাকায় ভুয়া পদ-পদবি ব্যবহার করে চিকিৎসা প্রদানের দায়ে চারজনকে আটক করা হয়। পরে সামারি ট্রায়াল পরিচালনা করলে তিনজন ভুল স্বীকার করায় তাদের ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুজন অর্থ পরিশোধ করলেও সুজন চন্দ্র লস্কর নামের একজন টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জহিরুল ইসলাম সৌরভ ভুল স্বীকার না করায় তাকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. কামাল হোসেন বলেন, বরগুনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় একটি সামারি ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভুয়া সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চিকিৎসা বাণিজ্য করায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী দণ্ড দিয়েছেন। পুলিশসহ বরগুনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার উপস্থিত ছিলেন।