প্রকাশিত :
০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২:১২:১৭
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন ৩ সন্তানের জনক-জননী। গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১১টায় উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের নতুন দুলাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ১০ লাখ টাকা কাবিনে তাদের দুজনকে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের নতুন দুলাল গ্রামের কাতার প্রবাসী মধু মিয়ার স্ত্রী ১ সন্তানের জননীর সঙ্গে একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আঙ্গুর মিয়া ২ সন্তানের জনকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরই সুবাদে গত শনিবার রাত আনুমানিক ১১টায় পরকীয়া প্রেমিকার স্বামীর বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রেমিক আঙ্গুর বাড়িতে যায়।
এ সময় স্থানীয় জনতা বিষয়টি টের পেয়ে পরকীয়া প্রেমিক আঙ্গুর ও প্রেমিকাকে এক ঘরের ভিতর আটক করে রাখে। রোববার (৩০ নভেম্বর) সকালে এলাকার উৎসুক জনতা খবর পেয়ে এক নজর দেখার জন্য প্রেমিকার বাড়িতে ভীড় জমায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। রোববার দুপুরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশী বৈঠকে ওই গৃহবধূর পূর্বে স্বামীকে তালাক দিয়ে পরকীয়া প্রেমিক আঙ্গুরের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা কাবিনে রেজিস্ট্রি করে তাদেরকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
একপর্যায়ে প্রেমিক আঙ্গুর প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার কথা বলে পালানোর চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
পরবর্তীতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করলে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরপর রাত ১০ টার দিকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই গৃহবধূর পূর্বে স্বামীকে তালাক দিয়ে পরকীয়া প্রেমিক আঙ্গুরের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা কাবিনে রেজিস্ট্রি করে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
পরকিয়া প্রেমিক আঙ্গুর মিয়া কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের কবদের বাজারের বিকাশ ও নগদ এজেন্ট ব্যবসায়ী।
কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের কাজী বিয়ের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে কঞ্চিবাড়ী ফাঁড়ী ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। পরে উভয় পক্ষ স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যান মেম্বার দ্বারা সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।