প্রকাশিত :
০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৭:৩৭
শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা জেলা। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার পর শুক্রবার তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে ঠাণ্ডার তীব্রতা বিন্দুমাত্র কমেনি। হিমেল বাতাসের দাপটে জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাবু প্রানীকুল।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা গত দুই দিনের কাছাকাছি অবস্থান করায় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের (১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তুলনায় তাপমাত্রা ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেও তীব্রতা কমেনি ঠাণ্ডার।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান জানান, যদিও তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু বাতাসের আর্দ্রতা ও হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
তিনি আরও পূর্বাভাস দেন, এই শৈত্যপ্রবাহের ধারা আগামী কয়েক দিন বজায় থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আবারও কমতে পারে।
সকাল ৯টার পর সূর্যের ঝলমলে আলো দেখা গেলেও তা ছিল একেবারেই নিষ্প্রভ। সূর্যের তেজ না থাকায় এবং কনকনে হিমেল বাতাসের কারণে উষ্ণতার অভাব অনুভূত হচ্ছে। এই ঠাণ্ডা বাতাসের কারণেই জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শহরের প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের চলাচল আজ সকালেও ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে কম। কর্মজীবী মানুষ ও যারা খোলা আকাশের নিচে কাজ করে, তারা মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে।
তীব্র শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পোহাচ্ছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। ভ্যানচালক, রিকশাচালক, দিনমজুর ও কৃষি শ্রমিকরা ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু শীতের কারণে যাত্রী ও কাজের স্বল্পতা থাকায় তাদের আয় কমে গেছে। বিশেষ করে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে তাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ শীতজনিত রোগব্যাধি, বিশেষ করে নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।