আপডেট :
০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:০৮:৫২
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ক্যও চিং মং-এর বিরুদ্ধে সরকারি উন্নয়নমূলক কাজে জড়িত ঠিকাদারদের কাছ থেকে নিয়মিত ঘুষ গ্রহণের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে অফিস পিয়ন তুর্জের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ লেনদেন পরিচালিত হওয়ার প্রমাণও মিলেছে।
পিয়ন তুর্জ দোষ স্বীকার করে বলেছেন, স্যারের নির্দেশেই টাকাগুলো নেওয়া হতো। তিনিই ঠিক করে দিতেন কার কাছ থেকে কত নিতে হবে।
জানা গেছে, জেলা পরিষদের টেন্ডার অনুমোদন, বিল ছাড়, ডিপিপি প্রক্রিয়া, ফাইল তদবির, কাজের প্রত্যয়ন পত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের ধাপে ঠিকাদারদের বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ দিতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঠিকাদার বলেন, ঘুষ না দিলে কাজ পাওয়া যায় না, বিলও ছাড়ে না।
এই অবৈধ লেনদেনের কারণে উন্নয়ন প্রকল্পের মান ও গতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। অভিযোগের তথ্য ও প্রমাণ নিশ্চিত হওয়ার পর সদস্য ক্যও চিং মং সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে ডেকে নিয়ে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনটি বন্ধ করার অনুরোধ জানান। এসময় তিনি প্রতিবেদককে 'পকেট খরচ' দেওয়ার কথাও বলেন, যা সাংবাদিকতার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং দুর্নীতি আড়াল করার স্পষ্ট চেষ্টা।
স্থানীয় সুশীল সমাজ, ঠিকাদার সমাজ ও সাধারণ নাগরিকরা অভিযোগটিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তাৎক্ষণিক তদন্ত, অফিস পিয়ন তুর্জের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা, জেলা পরিষদে দুর্নীতিবিরোধী টাস্কফোর্স গঠন ও উন্নয়ন প্রকল্পে শুদ্ধি অভিযান শুরু করার দাবী জানান তারা।
রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেখবেন। এধরনের অভিযোগ তিনি এখনো পাননি। প্রতিবেদকের কাছে এধরনের অভিযোগ থাকলে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে পাঠানোর কথাও বলেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না বলে বিষয় টি এড়িয়ে যান।
এখন দেখার বিষয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কত দ্রুত ও কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে সংগ্রহ করা অডিও ও ভিডিও প্রমাণ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।