প্রকাশিত :
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১:০১
সড়কে গাছ রেখেই চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ। এমন চিত্র দেখা যায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামের একটি সড়কে। এমন অবস্থায় সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফারিয়া কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে। রাস্তা থেকে গাছ অপসারণ না করায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয় ও পথচারীদের।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় জগতবেড় ইউনিয়নের জিসি ভেরভেরিরহাট ভায়া মুন্সিরহাট গামী চে.২০২০মি. ৩৭০০ মি. (৫.৫মি.প্রস্থ ও ১৬৮০মি. দৈর্ঘ্য) রাস্তার সংস্কারের কাজ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৮১৪.৫০ টাকায় দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে পিচ ঢালাই ও কার্পেটিংয়ের কাজ করার অনুমতি পায় স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফারিয়া কনস্ট্রাকশন। কিন্তু রাস্তার প্রশস্থ করণ করতে গিয়ে ওই সড়কের প্রায় মাঝ পথেই পড়ে ২টি বড় ডুমুরসহ মোট ৮টি গাছ।
কিন্তু লালমনিরহাট জেলা পরিষদ ও বন বিভাগের অনুমতি না পাওয়ায় রাস্তার মাঝখানে গাছ রেখে দিয়ে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ ও বন বিভাগের কাছে গাছ কাটার আবেদন করে, অনুমতি না পাওয়ার ফলে ওই গাছ রাস্তার মাঝেই রেখে সম্পন্ন করা হয়েছে কার্পেটিংয়ের কাজ। কারণ কাজের মেয়াদ ২১ জানুয়ারি থেকে ১২ নভেম্বর হওয়ায় তারা তা করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায়।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সড়কের মাঝেই কয়েকটি গাছ দাঁড়িয়ে ছিল। নতুনভাবে সড়ক নির্মাণ ও কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হলেও গাছগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে। এতে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে এবং রাতে বা কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় সহজেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পথচারী ও যানচালকরা।
রাস্তার নির্মাণ কাজে তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-প্রকৌশলী মানিক মিয়া গাছের কারণে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের অসুবিধা হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, গাছ কাটার অনুমতি না পাওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই খরচেই আরও এক বছর সময়ের মধ্যে কাজ করে দিবে বলে জানান তিনি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব শামসুল হক বলেন, রাস্তার কাজ সমাপ্ত হলেও গাছ গুলো অপসারণের অনুমতি না পাওয়ায় সরানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে যত দ্রুত সম্ভব গাছগুলো রাস্তার উপর থেকে সরিয়ে কাজ করার চেষ্টা চলছে।
পাটগ্রাম উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আহমেদ হায়দার জামান বলেন, গাছ কাটার চিঠি জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ ও বন বিভাগের কাছে অনেক আগেই প্রেরণ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেই গাছ সরিয়ে রাস্তার কাজ করে দিবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।