প্রকাশিত :
১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৭:১৪
কক্সবাজার উপকূলে এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। কিন্তু আশানুরূপ ইলিশ মিলছে না জেলেদের জালে। গত বছর এই সময়ে গড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ধরা পড়লেও এবার সেই আকার নেমে এসেছে ৩০০ থেকে ৪৫০ গ্রামে। অনেক ট্রলারে ইলিশ মিলছেই না। জেলেদের দাবি গত ১০ বছরে এমন সংকট দেখা যায়নি।
ট্রলারমালিক ও জেলেরা জানান, গত ১০ বছরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। দূষণ, বৃষ্টি কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ একাধিক কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে গবেষকদের অনুমান, তবে এ নিয়ে বিশদ গবেষণা এখনো হয়নি।
কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, জেলার ছয় হাজার ট্রলারে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জেলে ও শ্রমিক কাজ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সমুদ্রের অনুকূল অবস্থা না থাকায় লোকসান গুনছেন ট্রলারমালিকরা। বারবার লঘুচাপ–নিম্নচাপ, দূষণ এবং সাগরে খাবারের ঘাটতি—সব মিলিয়ে আয়ের পথ সঙ্কুচিত হচ্ছে তাদের। এখন কিছু ট্রলারের জালে ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে, তা–ও পরিমাণে কম। যে কারণে প্রতিটি ট্রলারের লোকসান হচ্ছে। এমন অবস্থা আর কত দিন চলবে, এর সঠিক উত্তর কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন, কুতুবদিয়া, পেকুয়াসহ অন্তত ৫০টি পয়েন্টে এখন প্রতিদিন ৮–১০ মেট্রিক টন ছোট ইলিশ ধরা পড়ছে—যা অক্টোবরে ছিল গড়ে ২০ মেট্রিক টন। বাজারেও এই ছোট ইলিশের দাম বেশি। পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
মৎস্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন,মূলত দুই কারণে ইলিশের আকার ছোট হচ্ছে: নদী–সাগরের দূষণ ও অক্সিজেনের ঘাটতি, পাশাপাশি বৃষ্টি কম হওয়া। তবে তারা মনে করেন, এই পরিবর্তনের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে আরও গবেষণা জরুরি। জেলেদের একটাই প্রশ্ন—ভরা মৌসুমেও যখন ইলিশের হাহাকার, তখন সামনে দিনগুলোতে বাঁচবে কিভাবে পরিবারগুলো?