আপডেট :
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩১:৫২
রাজশাহী তানোরে পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে মৃত্যু হয় দুই বছরের শিশু সাজিদের। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তানোরের বাড়িতে নিয়ে আসা হয় সাজিদের মরদেহ।
সাজিদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর কথা হয় তার বাবা রাকিব উদ্দীনের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি বিচার চাই। প্রশাসনিকভাবে যে বিচার করবে, আমি তাতেই সন্তুষ্ট। সঠিক যেটা, সেটা আমাকে দেবে। আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারিয়ে ফেলেছি। আমার কিছু করণীয় নাই। এখন শুধু দোয়া করা লাগবে। যেহেতু আল্লাহই দিয়েছেন, আল্লাহই নিয়ে গেছেন। কিন্তু অবহেলা (গর্ত বন্ধ না করায়) হয়েছে, এটা একমাত্র অবহেলা। এ ছাড়া আর কিছুই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা হাউজিং (গর্ত) করেছে, এটা তাদেরই কাজ। তারা না করলে সমস্যা হবে কেন? পাইপের মুখে তারা অন্য কিছু দিত, একটা বস্তু দিত বা পাইপের মুখ বেঁধে রাখত বা তারা যদি একটা নিশানা দিত। তারা কিচ্ছু দেয়নি। এ ঘটনায় আমি বিচার চাই। প্রশাসনিকভাবে যে বিচার করবে আমি তাতেই সন্তুষ্ট।’
উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে নিহত শিশু সাজিদের বাড়ি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে সাজিদের বাড়ির পাশের মাঠে। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা খান শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, রাত ৯টার দিকে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।