লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় আসামি ধরতে গিয়ে পৃথক ঘটনায় হামলার শিকার হয়েছেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। তবে ঘটনার ২ দিন পরেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
একের পর এক পুলিশের উপর হামলায় ঘটনায় এ উপজেলায় মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বারোদুনিয়া এলাকায় আসামি ধরতে গেলে আসামিপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায় ও ডাকাত বলে চিৎকার করে। এ সময় তাদের হামলায় তিনিসহ দুজন আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
অন্যদিকে এসআই মতিউর রহমান জানান, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের ঠ্যাংঝারা এলাকায় আসামি ধরতে গেলে আসামিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন।
এর আগে নভেম্বর মাসে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন থানার এসআই জাহিদ হাসান।
পরপর দুদিন পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটার দুদিন অতিবাহিত হলেও কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এসব ঘটনার পর থানায় পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাতীবান্ধা থানার এক পুলিশ সদস্য জানান, সন্ধ্যা হলে ওসি বার্তা দেয় আসামি ধরে থানায় আনতে হবে। কিন্তু আসামি ধরতে গিয়ে একের পর এক হামলার শিকার হলেও আইনি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছেন হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহীন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় আইনি ব্যাবস্থা নিতে বিলম্ব হচ্ছে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হাতীবান্ধা থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কি কারণে আইনী ব্যবস্থা নেয়নি তা খোজঁখবর নেয়া হচ্ছে।