প্রকাশিত :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬:০৪
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ছোট বোন জামাই আমির হোসেন হাওলাদার বলেছেন, হাদির উত্থান হয়েছিল শাহবাগে। সেই শাহবাগে যেনো তার জন্য একটি স্মৃতি স্তম্ভ করা হয়। আর ওর যে কাব্যগ্রন্থ আছে সেগুলো যেনো পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ওর জীবনী যেনো স্কুল-কলেজে সংযুক্ত করা হয়।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে হাদির জন্মস্থান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন বলেন, সারাদেশের মানুষ ওরে যেভাবে ভালোবাসতো সেই ভালোবাসা এমনি এমনি সৃষ্টি হয়নি সেটা তার অর্জন ছিলো। পরিবারের সবার কাছে হাদি ছিলো অত্যন্ত স্নেহের ও আদরের।এলাকাবাসীর কাছেও প্রিয় ছিলো হাদি।
তিনি আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকারীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। যতক্ষন পর্যন্ত বিচার করা না হবে ততক্ষণে আমরা থামবো না। আমাদের কোনভাবেই সান্তনা দেওয়া যাবে না। কারণ আমরা যে হাদিকে হারিয়েছি সেই হাদিকে ৫৫ বছরেও জন্ম নেবে না।
দাফনের বিষয়ে তিনি বলেন,পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ঢাকায় আসার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাদির লেখালেখিতে আমরা লক্ষ্য করেছি যদি কেউ ওকে মেরে ফেলে তাহলে তার বাবার পাশে কবরটা দেওয়ার কথা বলেছেন।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বক্স কালভার্ট রোড দিয়ে রিকশায় যাওয়ার সময়ে মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে হাদির মৃত্যু হয়।