বাংলাদেশের এক তরুণীর স্বপ্ন এখন বিশ্বমঞ্চে উড়াল দিয়েছে।
প্রকাশিত : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:১১:৪১
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠলেন মীম। একসময় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি সাধারণ স্কুলের ছাত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু মনের মধ্যে ছিল বড় স্বপ্ন পড়াশোনার মাধ্যমে বিশ্বজয়। সেই স্বপ্নকেই বাস্তবে রূপ দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে পূর্ণ স্কলারশিপ পেয়ে। এর মোট অর্থমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে হার্ভার্ড, ইয়েল, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ডের মতো প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার মান, গবেষণার সুযোগ ও আন্তর্জাতিক সুনামের জন্য খ্যাত। বিশেষজ্ঞদের মতে, একসঙ্গে এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ স্কলারশিপ পাওয়া শুধু বিরলই নয়, বরং এটি এক ধরনের বিশ্বরেকর্ডও হতে পারে। শিক্ষাবিদ ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শিক্ষা–গবেষক ড. আরিফুল হক বলেন, "এই অর্জন কেবল মীমের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।" মীমের এই যাত্রা সহজ ছিল না। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়া, স্বেচ্ছাসেবী কাজ, সামাজিক প্রজেক্ট, এমনকি একাধিক ভাষা শেখা সবই ছিল তাঁর প্রস্তুতির অংশ। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রকল্পে তাঁর উদ্ভাবনী কাজ মার্কিন ভর্তি কমিটিগুলোর নজর কেড়েছে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে এ ধরনের সাফল্যের নজির রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নাইজেরিয়ার এক শিক্ষার্থী ২০২২ সালে ২৪টি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেয়েছিলেন। তবে মীমের অর্জন সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে, যা বাংলাদেশের জন্য প্রথম। এ ধরনের সাফল্যের পেছনে দেশের শিক্ষা–পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোরও অবদান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উচ্চশিক্ষা পরামর্শক নীলা রহমান মনে করেন, "বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যদি সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রস্তুতি পান, তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও বড় সাফল্য আনতে পারবেন।" আগামী শরৎ সেমিস্টারে মীম যুক্তরাষ্ট্রের একটি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও এআই (Artificial Intelligence) বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করবেন। তাঁর স্বপ্ন, পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশে ফিরে প্রযুক্তি খাতে অবদান রাখা।
মীমের গল্প আজ দেশের তরুণদের জন্য শুধু এক টুকরো অনুপ্রেরণাই নয়, বরং এটি প্রমাণ করে পরিশ্রম, প্রস্তুতি ও সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে বিশ্বের যে কোনো দরজা খুলে যায়।
“যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৬ কোটি টাকার স্কলারশিপ পাওয়া মীমের অর্জন, যা তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।”