প্রকাশিত :
০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৯:৪৫
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পে অনুমোদনের সীমা অতিক্রম করে পাহাড় কাটার অভিযোগে উঠেছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই) রাঙামাটি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় প্রকল্প পরিচালকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ অনুমোদনের আগেই ভবন নির্মাণ শুরু করে। চারটি তিনতলা ভবনের জন্য প্রায় ৫ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার অনুমতি পাওয়া গেলেও প্রকল্প এলাকায় কাটা হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ১৯ হাজার ঘনফুট। অনুমোদনের তুলনায় প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার ঘনফুট পাহাড় অতিরিক্ত কাটা হয়েছে।
বিষয়টি নজরে আসার পর মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে রিট দায়ের করে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর ২০২৫) হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজি ও বিচারপতি রাজি উদ্দিন আহমেদের আদালত রাঙামাটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো স্থানে পাহাড় কাটার ওপর তাৎক্ষণিক স্থগিতাদেশ জারি করেন।
একই সঙ্গে আদালত জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নিয়ে একটি মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দেন। তিন মাসের মধ্যে মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়। প্রশাসন এতদিন নীরব ছিল কেন এবং ইতোমধ্যে কাটা পাহাড় পুনরুদ্ধার বা পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেওয়া হয়নি বলে আদালত জানতে চেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুমোদনহীন ও মাত্রাতিরিক্ত পাহাড় কাটা পাহাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করে। বর্ষায় ভূমিধস, ভবন ধস, মাটি ক্ষয়, পানি প্রবাহের পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হতে পারে।