প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৬:১৩:৩০
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেছেন, আমার পক্ষে এই মামলায় কোনো আপিল করার সুযোগ নেই। রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, এই মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আমি কষ্ট পাচ্ছি।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তাদের দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড ও রাজসাক্ষী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী বলেন, আমার যুক্তিতর্ক নেয়নি বলব না। অনেক কিছুই তো নিয়েছেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের কাছে মনে হয়েছে আমার যুক্তির চাইতেও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি স্ট্রং। এটা মনে করেই তারা রায় দিয়েছেন। আমারটা নেয়নি—এটা বলব না।
তিনি বলেন, যে রায় দিয়েছে, সে রায় মেনে নিয়ে আমার বক্তব্য হলো—এই রায় ভিন্নভাবে হলেও হতে পারত। হয়নি, এটা আমার বিপক্ষে গিয়েছে। এ জন্য আমি ক্ষুব্ধ। আমি অনেক কষ্ট লালন করছি। আমার আপিল করার সুযোগ নেই। আমি কষ্ট পাচ্ছি এ জন্য যে, আমার আসামির সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। এটা কি আমাকে কষ্ট দেবে না?
রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, এই মামলায় আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত শেখ হাসিনা আপিল করার সুযোগ পাবেন না। আমার পক্ষে এই মামলায় কোনো আপিল করার সুযোগ নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার ক্লায়েন্ট এসে ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করবেন বা কোনোভাবে গ্রেপ্তার হবেন, এর আগ পর্যন্ত আপিল বিভাগে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনারা তো দেখেছেন, আমাকে রায়ের কপিও মাননীয় ট্রাইব্যুনাল দেবে না বলে বলেছেন। এই যে দেবে না—এটাও আইনে আছে।
এদিন (সোমবার) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনটি অপরাধের পৃথক অভিযোগে তাকে এই দণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও দুটি অভিযোগে তার আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ মামলার অন্য দুই আসামির মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার রাষ্ট্রসাক্ষী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।