চুল শুধু রূপের অলঙ্কার নয়, এটি আত্মবিশ্বাসেরও প্রতীক। ঘন, ঝলমলে ও স্বাস্থ্যবান চুল চাইলে শ্যাম্পু বা প্রসাধনী নয়, সঠিক খাবারই হতে পারে আসল সমাধান।
প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪:২৯:০৩
সুপারফুড কীভাবে কাজ করে
পুষ্টিবিদদের মতে, সুপারফুড বলতে বোঝানো হয় এমন খাবারকে, যা ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রোটিনে ভরপুর। এগুলো শরীরের ভেতর থেকে কোষকে পুনর্গঠন করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে। যেমন পালং শাক, কেলে, বাদাম, ডিম, মাছ, গ্রিক দই কিংবা অ্যাভোকাডো-সবই প্রমাণিত সুপারফুড। বিশেষজ্ঞ মত , ঢাকার একটি প্রখ্যাত ডার্মাটোলজিস্ট বলেন, “চুলের জন্য বাজারের কেমিক্যাল প্রোডাক্ট যতটা নয়, ভেতরের পুষ্টি তার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। প্রতিদিনের খাবারে ওমেগা-৩, আয়রন, জিঙ্ক আর ভিটামিন সি থাকলে চুল অনেক দ্রুত ঘন ও ঝলমলে হয়ে ওঠে।”
বিশ্বজুড়ে উদাহরণ
হলিউড তারকা জেনিফার অ্যানিস্টন কিংবা ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন দুজনেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সুপারফুড তাদের হেয়ার রুটিনের অংশ। বিশেষ করে বাদাম, অ্যাভোকাডো আর ফ্ল্যাক্সসিড নিয়মিত খাওয়ার কারণেই তারা চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। “শ্যাম্পু সাময়িক সমাধান, কিন্তু সুপারফুডই হলো দীর্ঘমেয়াদি ঘন ও ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য।”
বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে
আমাদের দেশেও সহজলভ্য সুপারফুড পাওয়া যায়। মসুর ডাল, ডিম, দেশি মাছ, কাজু, কলা কিংবা শাকসবজি চুলের জন্য অনন্য খাদ্য। এগুলো শুধু সাশ্রয়ী নয়, বরং দৈনন্দিন খাবারে যুক্ত করাও সহজ।
বয়সভেদে যত্ন
৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সী মানুষের জন্য চুলের যত্নে সুপারফুড ভিন্নভাবে কাজ করে। তরুণদের ক্ষেত্রে এটি দ্রুত চুলের বৃদ্ধি ঘটায়, আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি চুলের ঝলমল ভাব ধরে রাখতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স যাই হোক না কেন, খাদ্যতালিকায় সুপারফুড রাখলে চুল থাকবে অনেকদিন স্বাস্থ্যবান।
শেষকথা
ঘন, উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান চুল পাওয়ার জন্য কোনো যাদুকরী সমাধান নেই। আছে শুধু সঠিক খাবারের নিয়মিততা। তাই বাইরে থেকে যতই যত্ন করা হোক, ভেতর থেকে শরীর ও চুলের পুষ্টি জোগাতে হবে সুপারফুড দিয়েই।