আপডেট :
০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫:৫২:০৫
শীতকালে ত্বকের সাথে সাথে মাথার ত্বকও হয়ে পড়ে অতিরিক্ত শুষ্ক। ফলে বাড়ে খুশকির সমস্যা—চুলকানি, চুল পড়া, এমনকি সংক্রমণের ঝুঁকিও তৈরি হয়। তবে চিন্তার কিছু নেই, কিছু ঘরোয়া উপায়েই মিলতে পারে সহজ সমাধান।
হালকা গরম ৩–৫ চা চামচ নারিকেল তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন। নারিকেল তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে ও মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত সংক্রমণ কমায়।
শ্যাম্পুর ঠিক আগে মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ইতালীয় এক গবেষণা জানায়— অ্যালোভেরা সেবোরিক ডার্মাটাইটিস কমাতে কার্যকর।
এক চতুর্থাংশ কাপ আপেল সিডার ভিনেগার ও একই পরিমাণ পানি মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। গবেষণায় দেখা গেছে, এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাব শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।
২ চা চামচ লেবুর রস মাথার ত্বকে ঘষে কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। পরে ১ কাপ পানির সাথে আরও ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ঢেলে নিন। সাইট্রাস ফলের অ্যাসিড মাথার ত্বকের স্বাভাবিক pH বজায় রাখতে সহায়তা করে।
হালকা গরম অলিভ অয়েল মাথার ত্বকে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে ঘুমান। ওলিভ অয়েল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দারুণ কাজ করে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে— ট্রি–ট্রি অয়েল খুশকি কমাতে সহায়ক। কয়েক ফোঁটা ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। আয়ুর্বেদ মতে নিম, মেথি, ভৃঙ্গরাজ, জবা ফুল, আমলকী খুশকি দূর করতে বিশেষ কার্যকর। নিমের অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান সংক্রমণ কমায়; জবার নির্যাস খুশকি দূর এবং চুল কালো করতেও সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন— ঘন ঘন হেয়ার স্প্রে বা জেল ব্যবহার করলে রাসায়নিক জমে খুশকি আরও বাড়তে পারে। তাই প্রাকৃতিক তেল বা হালকা লিভ-ইন সিরাম ব্যবহার করাই উত্তম।
নিয়মিত যত্ন, ঘরোয়া প্যাক ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে শীতেও থাকবে খুশকিমুক্ত, প্রাণবন্ত চুল।