এনসিপির পদযাত্রায় হামলা-সংঘর্ষের পর সেনা-পুলিশ-বিজিবির মোতায়েন, চারজন নিহত, গুলিবিদ্ধ অন্তত নয়
প্রকাশিত : ১৭ জুলাই ২০২৫, ৫:০০:০১
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত 'জুলাই পদযাত্রা' কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার জেরে জেলাজুড়ে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে একাধিক স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৪ জন নিহত এবং ৯ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউ চলাকালে শহরের সড়কগুলো কার্যত জনমানবশূন্য থাকলেও সকালে বিভিন্ন এলাকায় কিছুসংখ্যক মানুষকে ঘরের বাইরে দেখা যায়। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকলেও কিছু চায়ের দোকান ও কাঁচাবাজারে জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে।
সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকায় যেমন ঘোনাপাড়া, এলজিইডি মোড়, গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, কোট চত্বর, লঞ্চঘাট ও কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, তেমনভাবে পুলিশ বা র্যাব সদস্যদের দেখা যায়নি। তবে পৌরসভা এলাকার সামনে কিছু গ্রাম–পুলিশ এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুর যাওয়ার পথে এনসিপি নেতাকর্মীদের বহনকারী মিছিলে হামলা চালানো হয়। এনসিপি দাবি করেছে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জড়িয়ে পড়ে, যার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
হামলার মুখে এনসিপি নেতারা আশ্রয় নেন গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় তারা শহর ত্যাগ করেন। জেলা প্রশাসন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করলেও পরবর্তীতে ২২ ঘণ্টার পূর্ণ কারফিউ ঘোষণা করে। এনসিপির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে “আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে গোপালগঞ্জে এগিয়ে আসার” আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় এখনও কাউকে আটক বা অভিযুক্ত করার খবর পাওয়া যায়নি।