সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থা
প্রকাশিত : ১০ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫২:৩১
আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার বডি-ওয়্যার ক্যামেরা সংগ্রহের পরিকল্পনা নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার (৯ আগস্ট) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের সভায় এ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়।
রোববার (১০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সভার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী এবং ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, “৪০ হাজার বডি ক্যামেরা, যা সাধারণত বডিক্যাম নামে পরিচিত, সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।” তিনি আরও জানান, “আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই, যাতে পুলিশবাহিনী এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পায়।”
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে বডিক্যাম সরবরাহের জন্য যোগাযোগ করেছে। ভোটের সময় পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবলরা এই ডিভাইসগুলো বুকে ধারণ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের দ্রুত ক্রয় সম্পন্ন করে হাজার হাজার পুলিশ সদস্যের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ বলেন, “সব ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে, খরচ যাই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা।” এছাড়াও বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী জানালেন, আসন্ন ভোটের জন্য একটি নির্বাচনি অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অ্যাপটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের বিস্তারিত তথ্য যেমন প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট এবং অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা প্রদান করবে। প্রধান উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের দ্রুত এই অ্যাপটি চালু করতে এবং দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য ব্যবহারবান্ধব করে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন।