প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২:৫৮:৫৯
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য ডা. জাহেদ উর রহমান মন্তব্য করে বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে,তার সম্পূর্ণ দায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেই নিতে হবে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণধর্মী আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
জাহেদ উর রহমান বলেন, সম্প্রতি সরকার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করার নির্দেশ দিয়েছে। তিনি এই পদক্ষেপকে “অদ্ভুত ও অবাস্তব” আখ্যা দিয়ে বলেন, ঐকমত্য কমিশন নয় মাস ধরে কাজ করেও যে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি, সেখানে দলগুলো নিজেরা বসে মাত্র সাত দিনে কোনো সমাধান করতে পারবে—এটা বাস্তবসম্মত নয়।
তিনি বলেন, সরকারের এই ঘোষণা আসলে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী দলগুলোর আগের অবস্থানের প্রতিফলন। জামায়াত আগেই বলেছিল রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বসে সমাধান করুক। সরকারের ঘোষণায় সেই বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
এই বিশ্লেষক মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিতে পারে। যদি সরকার একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তা একটি বড় সংকটের জন্ম দেবে। এখনই দরকার, সরকার প্রধান নিজে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বসে পুনরায় আলোচনায় উদ্যোগ নিন। ড.ইউনূস ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই কমিশনের প্রস্তাবনাই এখন তিনি বাস্তবায়ন করছেন, ফলে তার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি শুধু কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তা নয়, তিনি এখন সরকারের অংশ—তাই সংকটের সমাধানের দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে।
জাহেদ উর রহমান বলেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে সাম্প্রতিক অচলাবস্থা যদি নিজেরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারে, সেটাই সবচেয়ে ভালো। কিন্তু ব্যর্থ হলে সরকারকে জোরপূর্বক কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না।