প্রকাশিত :
০৮ নভেম্বর ২০২৫, ৮:৫২:০৯
বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে স্বল্প পরিসরে আমদানির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়।
বিটিটিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃষকেরা পেঁয়াজের বাড়তি দামের সুবিধা পাচ্ছেন না। দাম বাড়ার সুযোগ নিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তাই পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দিলে বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমে যাবে। ভোক্তারা যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত এক সপ্তাহে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা ওঠায় দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ডিমের দাম ১৫০ টাকা ডজন আর পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৯০ টাকা পেরোলে আমদানির অনুমতিসহ শুল্কছাড় দেওয়ার সুপারিশ করে ট্যারিফ কমিশন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে এই সুপারিশ করা হয়।
টিসিবির তথ্য বলছে, এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। গত শুক্রবার রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৮০ টাকা।
কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে চিঠিতে বিটিটিসির চেয়ারম্যান মইনুল খান জানান, প্রতিকেজি পেঁয়াজ এই সময়ে ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও তা বেড়ে এখন ১১৫ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ পাশের দেশে এই পেঁয়াজের দাম এখন প্রায় ৩০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তাই সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত অনুমতি দিতে কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস ভারত। ভারত থেকে পেঁয়াজের মোট আমদানির ৯৯ শতাংশই করা হয়। এ ছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিসর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।