আপডেট :
১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯:৩৬
সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নাগরিক প্রতিদিনকে সাংবাদিক সোহেল নিজেই ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর নতুন বাড্ডার বাসা থেকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহেলকে ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) পোশাক গায়ে দেওয়া পাঁচ ব্যক্তি আটক করে নিয়ে যায় তাকে।
মিজানুর রহমান সোহেল দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন হেড এবং অনলাইন এডিটর অ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাংবাদিক সোহেলের স্ত্রী সুমাইয়া সীমার অভিযোগ ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) পোশাক গায়ে দেওয়া পাঁচ ব্যক্তি আটক করে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, ওই পাঁচজনের একজন নিজেকে আশরাফুল পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান সোহেলের সঙ্গে কথা বলতে চান। এজন্য তাকে নিতে এসেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্ত্রী সীমা বলেন, তিনি শুয়ে পড়েছিলেন, সোহেল তখনো ল্যাপটপে কাজ করছিলেন। এ সময় কলিংবেলের শব্দ পেয়ে সোহেল গিয়ে দরজা খুলে দেখেন ডিবির জ্যাকেট গায়ে পাঁচজন দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন। পরে পাশের রুম থেকে তিনি এসে জানতে চান তারা কী জন্য এসেছেন। তখন ওই কর্মকর্তা সোহেলকে নিতে আসার কারণ তুলে ধরেন।
মধ্যরাতে এভাবে বাসা থেকে মিজানুর রহমান সোহেলকে ডিবি পরিচয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উদ্বেগ জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে সোহেলের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা জানতে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তাকে এখানেই আনা হয়েছে। কেন রাত ১২টার পর একজন গণমাধ্যমকর্মীকে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে সেটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডিবি কার্যালয় আনা হয়েছে।
মিজানুর রহমানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আশরাফুল নামের জনৈক পুলিশ সদস্য সাংবাদিক সোহেলের স্ত্রীকে জানান, ‘ডিবিপ্রধান তার সঙ্গে কথা বলতে চান, কথা শেষ হলে তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’
এ নিয়ে আল জাজিরার বাংলাদেশী অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে দাবি করেছেন, সোহেলকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা ডিবি কার্যালয়ে সোহেলকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে সায়েরের পোস্টে জানানো হয়।
সায়ের তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশ সময় বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১২টার পর, দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে, ডিবি পরিচয়ে তার নতুন বাড্ডার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা জানতে কিছুক্ষণ আগে আমি ডিবি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি। তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানালেন তাদের এখানেই আনা হয়েছে। কেন রাত ১২টার পর একজন গণমাধ্যমকর্মীকে বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে সেটা জানতে চাইলে তিনি বললেন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মিজানুর রহমান সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডিবি কার্যালয় আনা হয়েছে।’