প্রকাশিত :
২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১:১০:৩২
২০৩০ সাল নাগাদ তীব্র তাপদাহের ঝুঁকিতে থাকবে দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ । চার ভাগের এক ভাগ থাকবে বন্যার ঝুঁকিতে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানকে এর ভয়াবহ প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ঝুঁকি থেকে স্থিতিস্থাপকতা: দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের অভিযোজনে সহায়তা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ চরম জলবায়ু ঝুঁকির মুখে পড়বে। উচ্চ তাপমাত্রা, ভয়াবহ বন্যা, উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি-সব মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রামীণ অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন ও কর্মসংস্থান। পারিবারিক পর্যায়েও ঝুঁকি বাড়বে বহুগুণ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পানি ও মাটিতে লবণাক্ততা বাড়লে উপকূলীয় এলাকায় জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যেসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তা মোটাদাগে অল্প খরচের নামকাওয়াস্তে সমাধান। সরকারিভাবে বড় উদ্যোগ নেই।
বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু সংকট, পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটি আরও পরিণত হবে যদি আগাম দুর্যোগ সতর্ক ব্যবস্থা, স্মার্ট কৃষি ও অভিযোজন বাজেটের পরিধি বাড়ানো যায়।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ সিদ্ধার্থ শর্মা বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু সংকট মোকাবেলার গতি কম। যেখানে চলমান বাস্তবতায় দ্রুত উদ্যোগ জরুরি। সেজন্য সরকারি-বেসরকারি খাতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় শক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও তথ্য সংগ্রহ সবই ব্যয়বহুল। জলবায়ু অভিযোজন মোকাবিলায় বাংলাদেশের অনেক পলিসি রয়েছে, তা বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং।
তিনি আরও বলে, এ বিষয়ে পাইলট প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সমন্বয়ে বাংলাদেশ বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছে।