ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনাকে 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা' মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমালোচনার মুখে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রদত্ত বক্তব্যের একটি অংশকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত তথ্যের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
এর আগে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে হাদির ওপর গুলির ঘটনাকে 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা' বলে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন দাবি করেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুনখারাবি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এই ধরনের ঘটনা সব সময়ই ছিল।'
সিইসির এমন বক্তব্যের পর সেটার সমালোচনা করে ব্যাখ্যা দাবি করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখা করা হয়েছে, শরিফ ওসমান হাদির উপর সন্ত্রাসী হামলাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিশন জরুরি সভা করেন। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার মূলত তার বক্তব্যে বুঝাতে চেয়েছেন যে, ওসমান হাদির উপর সন্ত্রাসী হামলা আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না। কমিশন ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে। উপর্যুক্ত বর্ণনা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করবে বলে কমিশন মনে করে।
এ ছাড়া এই ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে সিইসির বক্তব্য নিয়ে 'ভুল বোঝাবুঝির অবসান' ঘটবে বলে নির্বাচন কমিশন মনে করছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।