প্রকাশিত :
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩:১৬:১৮
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ছায়ানটে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ীদের সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি, শিক্ষা এবং সৃজনশীল উদ্যমের শত্রু।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।
সংগীতায়ন ছায়ানটে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাসে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘দেশে ৬০ দশক থেকে ছায়ানট এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা ও সৃজনশীলতার অনন্য কেন্দ্র। এই ভবনে যারা আগুন দেয় তারা এই জনপদের ইতিহাস সংস্কৃতি মুছে ফেলতে চায়। তারা মানুষের সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি, শিক্ষা এবং সৃজনশীল উদ্যমের শত্রু।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে ডেইলি স্টার ভবনে উন্মত্ত জনতার হামলার শিকার নিউ এউজ সম্পাদক নূরুল কবীরের পাশে দাঁড়িয়েছেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘সেই ৮০ দশক থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন চেহারার স্বৈরশাসন, নির্যাতন, বৈষম্য এবং ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে বরাবর সরব থেকেছেন, লড়াই করেছেন লেখক সম্পাদক নূরুল কবীর। তার ওপর কারা আক্রমণ করতে পারে? এই জালেমদের গুন্ডাবাহিনী ছাড়া আর কে হবে?’
প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার ভবনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের এই দুই প্রধান পত্রিকার ভবনে যারা আগুন দিয়েছে তারা স্বৈরশাসকের পক্ষশক্তি, তারা দেশে সহিষ্ণুতা মতপ্রকাশ এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চিহ্ন রাখতে চায় না। এ ছাড়াও দেশের নানাস্থানে মব সন্ত্রাস চলছে, খুন জখম মানুষ পোড়ানোর ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।’
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এগুলো সবই ফ্যাসিবাদী তৎপরতার এক একটি নমুনা। এই মাস্তানতন্ত্রের বিস্তার সম্ভব হচ্ছে অচিন্তনীয় মাত্রার অপদার্থের কথায় কিংবা এসবের পৃষ্ঠপোষক সরকারের কারণে। এর নিন্দা জানানোর ভাষা পাওয়া কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে, বিভিন্ন দল ও মতের, যারা ন্যূনতম দায় বোধ করেন, ফ্যাসিবাদী দঙ্গলবাজী উন্মাদনার বিরুদ্ধে তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা অবশ্য কর্তব্য।’