প্রকাশিত :
৩০ জুন ২০২৫, ১০:৪৬:১৪
চার দিনের কলমবিরতি ও কর্মবিরতির পর আজ সোমবার সকাল থেকে আবারও দাফতরিক কাজে ফিরেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে দেশের বিভিন্ন কাস্টমস হাউস, ভ্যাট কমিশনারেট ও কর অঞ্চলে আটকে থাকা ফাইলপত্র ও রাজস্ব সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি ফিরেছে।
কর্মবিরতির কারণ ও প্রত্যাহার
গত সপ্তাহে এনবিআরের রাজস্ব কর্মকর্তা পদে নিয়োগসংক্রান্ত কিছু প্রক্রিয়া ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলে ‘অত্যাবশ্যক সেবা’র স্বীকৃতি দাবি করে কলমবিরতিতে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চাপ বাড়তে থাকায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহলের আশ্বাসে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
এনবিআরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন,
আমরা প্রশাসনের আশ্বাসে কাজ শুরু করেছি। তবে দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আবার কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি
কর্মবিরতির ফলে গত চার দিনে দেশে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় পিছিয়ে পড়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। বিশেষ করে আমদানি-রপ্তানি খাতে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।
ঢাকার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক মুখপাত্র বলেন,
এনবিআরের মতো সংস্থায় অচলাবস্থা তৈরি হলে অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরকারের পদক্ষেপ
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এনবিআরের ‘অত্যাবশ্যক সেবা’ ঘোষণার বিষয়টি এখন বিবেচনায় রয়েছে এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত শিগগিরই জানানো হবে। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে কর্মপরিবেশ উন্নয়নেও আলোচনা চলবে বলে জানানো হয়েছে।
- এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দিনের কর্মবিরতি শেষে কাজে ফিরেছেন
- দাবির মধ্যে ছিল ‘অত্যাবশ্যক সেবা’ ঘোষণা ও স্বীকৃতি
- কর্মবিরতির ফলে রাজস্ব আদায়ে বড় ধাক্কা
- প্রশাসনের আশ্বাসে কাজ শুরু, দাবি না মানলে ফের কর্মসূচির হুমকি
- অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে