পিরামিডের দেশে নতুন ট্রেন্ড বিশেষ জাতের ছাগলের সঙ্গে চা খেতে ছুটছেন ধনীরা।
প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২৫, ৩:০৫:২৬
চা খাওয়া মানেই কি শুধু গল্প আর চিনি-দুধের হিসাব? নাকি এর মাঝেও ঢুকে পড়েছে বিলাসিতা আর ‘ইনফ্লুয়েন্সার লাইফস্টাইল’? অন্তত মিসরে সেটাই এখন বাস্তব। কায়রোর এক প্রান্তে খোলা হয়েছে ‘Goat & Garden’ নামের একটি বিলাসবহুল খামার, যেখানে অতিথিরা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ছাগলের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন চা পান, সেলফি, এমনকি যোগব্যায়াম পর্যন্ত! খামারের উদ্যোক্তা হাসান আল-তরিক জানান, “আমরা মানুষকে প্রকৃতির কাছে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছি। এই ছাগলগুলো অর্গানিক পরিবেশে বড় হয়েছে এবং তারা সামাজিক প্রাণী। মানুষ তাদের সঙ্গ পেয়ে চায়ের স্বাদটা আরও উপভোগ করেন।”
“ছাগলের সঙ্গে চা খাওয়ার পর আমি নিজেকে ধনী নয়, প্রকৃতির অংশ মনে করি” রানা মিশরী, সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার।
খামারে প্রবেশের আগে অতিথিদের জন্য নির্দিষ্ট ড্রেসকোড, স্বাস্থ্যবিধি এবং প্রাণীর প্রতি সহানুভূতির প্রশিক্ষণ পর্যন্ত রয়েছে। আর এই অভিজ্ঞতার জন্য গুনতে হয় ৫০ থেকে ৭০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত! বিশেষ করে ইনস্টাগ্রাম-টিকটকে এই ‘গোটি টি পার্টি’ এখন ভাইরাল। ইউরোপের প্রভাবশালী ট্র্যাভেল পোর্টাল Condé Nast Traveller–এ পর্যন্ত উঠে এসেছে এই নতুন ধারার বিলাসিতা।
কেন ছাগল?
ছাগল মিসরীয় সংস্কৃতিতে চিরকালই ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ পশু দুগ্ধ, চর্মশিল্প, এমনকি উৎসবেও। তবে এখন সেটাই হয়েছে ইনফ্লুয়েন্সার ও ধনীদের মানসিক প্রশান্তির উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, পশুর সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক চাপ কমায়, এবং ছাগল হচ্ছে সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রাণীগুলোর একটি।
এই অভিজ্ঞতা থেকে শেখার কী আছে?
অভিজাতের সংজ্ঞা বদলাচ্ছে যেখানে পাঁচ তারা নয়, ছাগলের চোখে চোখ রাখাটাই বিলাসিতা। আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড বলছে, ভবিষ্যতের বিলাসিতা হতে যাচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে সখ্যতা। আর মিসর যেন তার শুরুটাই করে ফেলল ছাগলের পায়ের ছাপ মেপেই!