প্রকাশিত :
০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২:৪৯:০৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিএনপি দেড় বছরে এক কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করবে।’
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল বিষয় আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণের কথা সব সময় বলতে হবে। ৮ বছর আগে ভিশন ২০৩০ দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। পরবর্তীকালে অনেক পরিবর্তন মাথায় রেখে ২৭ দফা এবং পরবর্তীকালে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছে বিএনপি। সরাসরি সাধারণ মানুষের প্রস্তাবনা নিয়ে এটি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ইশতেহার আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। নির্বাচনের আগে ভোট নিয়ে তৎপরতা থাকে। মানুষ ইশতেহার দেখে ভোট দেয়, আমার জানা নেই!’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘দীর্ঘ আলোচনার পর ঐকমত্যের মাধ্যমে সনদ সই হয়েছে। এর বাইরে ভিন্ন মতের প্রতি সম্মান থাকতে হবে। ঐকমত্যের বাইরে যেয়ে নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে আপনি ঐকমত্যকে সম্মান করছেন না।’
আমীর খসরু বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল নিজেরা মালিক হতে চাচ্ছে। জোর করে দাবি আদায় করতে চায় তারা। শেখ হাসিনার শাসনের কারণে অনেকের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব চলে এসেছে। কিন্তু ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে সনদ সই হয়েছে। বাস্তবায়নও ঐকমত্যের মাধ্যমে হতে হবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসেন, নিজেদের দাবি অন্য দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়, বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা কি এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে চান? নানা ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন আছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সবার প্রতিবাদের অধিকার আছে। কিন্তু মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না। কথায় কথায় রাস্তায় যান, বৃহত্তর দল যদি রাস্তায় নামে, সংঘর্ষ হবে না? ৩১ দফার সব কিছু সনদে আসেনি। কিন্তু তা নিয়ে বিএনপি রাস্তায় যাচ্ছে না। জনগণের কাছে যাব। জনগণ ম্যান্ডেট দিলে সেসব বাস্তবায়ন করবো। এ সরকার সংবিধান মেনে হয়েছে। সংবিধানে কিন্তু গণভোট নেই। সংসদে যেয়ে এটি পাশ করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বলেন, ‘১৮ মাসে এক কোটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করবে বিএনপি। চাকরি কীভাবে দেব, তার সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। নতুন ইকোনমিক মডেলে যেতে হবে।’