আপডেট :
০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৪৫:৫৯
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেবো না। আলোচনা এখনো চলছে। যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, জুলাইয়ের আকাঙ্খার পক্ষে থাকবে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম সেন্টিমেন্ট ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজনীতি ধারণ করতে পারবে তাদের সঙ্গে অ্যালায়েন্সের পথ এখনো খোলা আছে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ৩০০ আসনে এনসিপির মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলা শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, খুব শিগগিরই এটার আমরা সুন্দর সমাধান দেখতে পাবো। মাঝে আমাদের জোট ঘোষণার কথা ছিলো। কিন্তু এই জোট ঘোষণার যে রূপরেখা ও বিস্তৃতি আরও বড় হওয়ার প্রয়োজন মনে করি। আশা করছি শিগগিরই বড় আকারে জোট প্রকাশিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি যেই মানুষগুলোর ভালো ইমেজ আছে, যারা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং ভালো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সচেতনতা আছে আমরা তাদের নেওয়ার চেষ্টা করেছি। একটা শর্ত সব সময় আমাদের ছিলো যারা গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের যে কোনো ইউনিটে রানিং পদধারী ছিলো তাদেরকে আমাদের আহ্বায়ক বা সমন্বয় কমিটিতে শুধু পঞ্চগড়ে নয় বাংলাদেশের কোথাও রাখি নাই।
এর আগে মসজিদ-মন্দিরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে সারজিস বলেন, আমরা প্রত্যেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আমরা আমাদের নিয়মকানুন ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ প্রত্যেকে পালন করবো। কিন্তু আমাদের এটা মনে রাখতে হবে, আমরা যেন আমাদের নিজের আদর্শটা সবার উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করি। এই চেষ্টার ফল ভয়াবহ। এবং এই চেষ্টা যদি আমরা করতে চাই, তাহলে আমরা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অনুকূল কোনো দৃশ্য দেখতে পাবো না। যেমনভাবে শেখ হাসিনা দেখেননি।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- এখানে যেমন মুসলিম, ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছে, তেমনি অন্যান্য ধর্মের মানুষও রয়েছে। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা সংস্কৃতি রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক জনের আলাদা আলাদা আদর্শ রয়েছে। আমারটা পালন করলে ভালো, আর পালন না করলে তার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে যাবো, এই চরিত্র ভালো চরিত্র নয়।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমরা গত ৩ মাসে দুইশো মসজিদ-মন্দিরের জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছি। যা গত বিশ বছরেও বড় বড় এমপি-মন্ত্রীরা আনতে পারেনি। এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মী ও জাতীয় যুব শক্তির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।