প্রকাশিত :
০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৮:৫৫
ট্রাম্প জানিয়েছিলেন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে অভিবাসন একেবারেই বন্ধ করে দেবেন। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি বিগত বাইডেন সরকারের সময় দেওয়া স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন ও রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিলের সিদ্ধান্তও নিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এবার সেই পরিধি আরও বাড়াতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। তবে কি বাংলাদেশও ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকবে? এ নিয়েই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন অনেকে।
কদিন আগেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উল্লেখযোগ্য হারে ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশগুলোর তালিকা বড় হতে যাচ্ছে। নতুন তালিকায় নিষেধাজ্ঞা পাওয়া দেশের সংখ্যা ৩০টির বেশি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম। বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।
ক্রিস্টি নোম জানান, সঠিকভাবে কতটি দেশকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে তা নিশ্চিত নয়। তবে এটি ৩০টির বেশি হবে। ট্রাম্প এখনো যাচাই–বাছাই করে দেখছেন কোন দেশেগুলোকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা যায়।
এর আগে গত জুনে একটি ঘোষণায় সই করেছিলেন ট্রাম্প। তাতে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া আরও সাত দেশের ওপর ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, নিরাপত্তা হুমকি থেকে সুরক্ষা পেতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় ১২টি দেশের অভিবাসী ছাড়াও পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা ছিলেন।
কোন কোন দেশকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হবে তা না জানা গেলেও, ক্রিস্টি নোম জানান, যেসব দেশে স্থিতিশীল সরকার ব্যবস্থা নেই ও বিদ্যমান সরকারের টিকে থাকার সম্ভাবনা না থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্রে আগমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ব্যাপারে যাচাই করার সামর্থ্য না থাকে সেসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আসতে দেয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকা দেশের তালিকা বড় করার অর্থ হলো অভিবাসন নিয়ে আরও কঠোর হলো ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করবেন তিনি। তবে কোনো দেশের নাম সে সময় উল্লেখ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।