আপডেট :
০৬ আগস্ট ২০২৫, ৫:৩৮:২৯
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনা অভিযানের সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে সহকারী মহাসচিব মিরোস্লাভ জেনকা বলেন, “এই অভিযান সম্প্রসারিত হলে গাজায় আটক থাকা জিম্মিদের জীবন হুমকিতে পড়বে এবং এর ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।”
জেনকা বলেন,
গাজা ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ। সেখানে দখলদারি কিংবা দমনমূলক অভিযানের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা প্রশ্নবিদ্ধ।
ইসরায়েলি পরিকল্পনা ও প্রতিক্রিয়া:
মঙ্গলবারই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় ‘সম্পূর্ণ দখলের’ পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এ প্রসঙ্গে চীনের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি গেং শুয়াং বলেন, “ইসরায়েলের এই সম্ভাব্য পদক্ষেপ খুবই বিপজ্জনক এবং তা অবিলম্বে স্থগিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন,
গাজায় যুদ্ধবিরতি জরুরি। এর জন্য প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিরোধিতা:
নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি৭-এর ফ্রান্স, কানাডা ও ব্রিটেন আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে।
এ প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিওন সার বলেছেন, “যারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চাপ দিচ্ছে, তারাই গাজা যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছে এবং জিম্মিমুক্তি চুক্তি নস্যাৎ করছে।”