আপডেট :
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫:২৭:৪৭
স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানোয় প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর অভিযোগ করেছেন নেপালের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) জেন-জির বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন অলি। এ সময় গুঞ্জন ওঠে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে তিনি নেপালেই অবস্থান করছেন এবং বর্তমানে সেনাবাহিনীর শিবপুরি ব্যারাকে আছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজ দলের মহাসচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠান অলি। সেখানে নিজের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর জন্য সরাসরি ভারতকে দায়ী করেন তিনি। অলি চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘যদি আমি লিপুলেখ অঞ্চল নিয়ে প্রশ্ন না তুলতাম এবং অযোধ্যা ও দেবতা রাম নিয়ে কথা না বলতাম তাহলে হয়তো আমি ক্ষমতায় থাকতাম। আমি ক্ষমতা হারিয়েছি কারণ অযোধ্যায় দেবতা রামের জন্ম হয়েছে—এই দাবির বিরোধিতা করেছিলাম।’
ভারত ও নেপালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে লিপুলেখ গিরিপথকে ঘিরে বিরোধ রয়েছে। এর কেন্দ্রবিন্দু কালাপানি অঞ্চল। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি অনুযায়ী সীমান্ত নির্ধারণ করা হয় কালী নদীর উৎপত্তিস্থল ধরে। তবে দুই দেশই এ উৎপত্তিস্থল নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দাবি করে আসছে। নেপালের দাবি, কালী নদীর উৎপত্তি লিম্পিয়াধুড়া থেকে, যা লিপুলেখের উত্তর-পশ্চিমে। সে অনুযায়ী, কালাপানি ও লিপুলেখ উভয়ই নেপালের ভূখণ্ড। অপরদিকে ভারতের দাবি, নদীটি কালাপানি গ্রামের কাছে শুরু হয়েছে এবং এ অঞ্চল তাদের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অংশ।
অলির সরকার এ ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নেয়। তিনি ঘোষণা দেন, ‘মহাকালী নদীর পূর্ব দিকের লিম্পিয়াধুড়া, লিপুলেখ ও কালাপানি নেপালের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’ এ ঘোষণার পর ভারতকে ওই অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করতে আহ্বান জানায় নেপাল। এমনকি দেশটি চীনকেও জানায় এটি নেপালের ভূখণ্ড।
তবে ভারত নেপালের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে জানায়, ১৯৫৪ সাল থেকে তারা লিপুলেখ গিরিপথ দিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য করছে।